গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়

গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হল গুগল এডসেন্স এর ওয়েবসাইটে যেতে হবে। গুগল এডসেন্স একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং পরীক্ষা করতে হবে যে আপনি গুগল এডসেন্স এর প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন প্রদানের যোগ্য কিনা। 

এগুলো করার পরে আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডস এর কোড অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং আপনার অ্যাকাউন্টের ভেরিফাই করার জন্য গুগল দ্বারা প্রদত্ত নির্দিষ্ট নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হবে। এভাবে চেষ্টা করলে আপনি গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে পারবেন। নিচে গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

গুগল এডসেন্স এর জন্য কিভাবে আবেদন করব

গুগল এডসেন্স এর জন্য যেভাবে আবেদন করবেন তা নিচে দেওয়া হল বিস্তারিত দেখে নিন

প্রথমে গুগল এডসেন্স এর ওয়েবসাইটে যান তারপর নিম্নে দেওয়া লিংটিতে ক্লিক করুন

  1. এরপরে উপরে দেওয়া লিংকটিতে ক্লিক করুন ,এরপর আবেদন বাটনে ক্লিক করুন। তারপর ওয়েবসাইটের প্রোফাইলে যান ‘এবার যোগ দিন” বা “সাইন আপ করুন” এর মত একটি বোতাম দেখা যাবে ওই বোতামে ক্লিক করুন।
  2. তারপরে আপনার অ্যাকাউন্টটি লগইন করুন। নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন বা আপনার google একাউন্ট লগইন করুন।
  3. এইবার আসল কাজটি করা যাক যে আবেদন ফ্রম দেওয়া আছে ওইখানে ক্লিক করুন। আবেদন ফরমটি পূরণ করুন যেখানে আপনার ওয়েবসাইট এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে।
  4. এখন গুগল এডসেন্স একাউন্টটি প্রতিষ্ঠার জন্য ভেরিফিকেশন করতে হবে। আপনার আবেদন জমা হওয়ার পরে গুগল এডসেন্সে আপনার ওয়েবসাইটে ভেরিফিকেশন প্রতিক্রিয়া চালিয়ে যাবে। এ প্রতিক্রিয়া টি হতে পারে গুগলের দ্বারা প্রেরিত একটি কোড বা একটি নির্দিষ্ট ফাইল আপলোড করার মাধ্যমে।
  5. এইবার google এডসেন্স ব্যবহার করা শুরু করুন আপনার আবেদনটিসফল হওয়ার পরে বা স্বীকৃতি পাওয়ার পরে আপনি google এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন কোড আপনার ওয়েবসাইটে উপলব্ধি করতে পারবেন। এবং এডসেন্সের ভিজিটারদের দ্বারা ক্লিক এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি দেখবে বা ভিজিট করবে তার মাধ্যমেও আপনি আয় করতে পারবেন।
অতি সহজেই আমরা গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারি। আপনারাও দেরি না করে তাড়াতাড়ি গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করে ফেলুন। এখন তো আমরা সবাই জেনে গেছি গুগল এডসেন্সের জন্য কিভাবে আবেদন করব।

গুগল এডসেন্স এর জন্য কয়টি পদ প্রয়োজন

সেন্সের জন্য কয়টি পদ প্রয়োজন তা নিচের বিশ্লেষণ করা হলো। google এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে যা যা প্রয়োজন তা নিচে দেওয়া হল ।




  1. সর্বপ্রথম আপনার একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন থাকা প্রয়োজন “অ্যাপ্লিকেশন টাকে আমরা শট খাটে অ্যাপস বলে জানি”। যাতে আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে।
  2. এর পরে গুগল একাউন্টে গুগল এডসেন্সের এর জন্য আবেদন করতে হলে আপনার গুগলে অবশ্যই একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে যেমন “জিমেইল” এটি থাকা আবশ্যক। যদি আপনার google একাউন্টটি না থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি” google একাউন্ট বা জিমেইল” খুলতে হবে। অতি সহজে আপনি গুগল একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন যদি সেটা না পেরে থাকেন তাহলে গুগলে সার্চ দিতে পারেন অথবা ইউটিউবে সার্চ দিয়ে ভিডিও দেখে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।
  3. এইবার,লাগবে,প্রশাসনিক,তথ্য,প্রশাসনিক,তথ্য,হলোযেমননাম,ঠিকানা,ফোন,নাম্বার,ইমেইল,এড্রেস, জেলা,বিভাগ,দেশের নাম ইত্যাদি। এরকম আরো কিছু তথ্য দিতে হবে।
  4. এইবার লাগবে ব্যাংক তথ্য এখনকার সময়ে অধিকাংশ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকে। মাঝে মাঝে আপনার ব্যাংকের তথ্য প্রয়োজন হতে পারে। যাতে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে যে পারিশ্রমিকটি পেয়ে থাকেন তা ব্যাংকের মাধ্যমে নিতে পারেন। ডুয়েল গার্ডেন্সি কারেন্সি মাধ্যমে অতি সহজেই আপনার পারিশ্রমিকটি নিতে পারবেন। এজন্য আপনার ব্যাংক একাউন্ট থাকা আবশ্যক বা অত্যন্ত প্রয়োজন।
  5. এবার জানতে হবে জনপ্রিয়তা ও সুরক্ষা নীতিমালা কিভাবে রক্ষা করতে পারি,আমাদের গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আর্নিং করতে হলে গুগলের অনেকগুলা নীতিমালা আছে সেগুলোকে মেনে চলতে হবে। তাহলে আমরা গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আর্নিং করতে পারব। নীতিমালা ভঙ্গ করলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ব্যানও হয়ে যেতে পারে,এর ফলে আমাদেরকে আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। আপনার একটা ইনফরমেশন বা তথ্য দিয়ে আপনি একটাই একাউন্ট খুলতে পারবেন। অতএব এত ঝামেলা না করে গুগলে নীতিমালা গুলো মেনে চলায় আমাদের জন্য ভালো।
উপরে উল্লেখিত কথাগুলো ফলো করলে আপনিও google এডসেন্স এর মাধ্যমে সঠিকভাবে সফলভাবে আবেদন করতে পারবেন এবং আর্নিং করতে পারবেন। নিচে আরো কিছু বিষয়ে বিশ্লেষণ করা হলো:-

গুগল এডসেন্স এর ট্রাফিক কতটুকু প্রয়োজন

গুগল এডসেন্স এপ্লাই করার জন্য নির্দিষ্ট কোন ট্রাফিক এক্সপেন্টেশন নেই। তবে গুগল এডসেন্স এপলাই করার জন্য আমরা কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস মনে রাখতে পারি। এগুলো সম্পর্কে নিজে বিশ্লেষণ করা হলো।

  1. প্রথমেই লাগবে উপযুক্ত ওয়েবসাইট কনটেন্ট, আপনার ওয়েবসাইট কন্টেনে ইউনিক হতে হবে। অন্য কোন ওয়েবসাইটের সাথে মিল রেখে কন্টেন্ট লিখতে পারবেন না। তাহলে সেটা কপিরাইট হিসেবে গণ্য করা হবে বিপদের সম্ম, আরে কপিরাইটের ফলে অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। তাই কনটেন্ট গুলো নিজের মত লেখার চেষ্টা করবেন। কন্টেন লেখার আগে আপনাকে আগে ভেবে নিতে হবে কোন বিষয়ে লিখবেন, তার ভিতরে কি কি হেডিং দিবেন এসব আগে থেকে বিবেচনা করে একটি কন্টেন্ট লিখতে হবে। কন্তান লেখা লেখার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে সেই কনটেন্টটি যেন সম্পূর্ণভাবে সত্য ঘটনা হয় বা সঠিক তথ্য হয় কোন ভুয়া তথ্য দেওয়া যাবে না ।
  2. এরপরে লাগবে মিনিমাম ট্রাফিক একজন ট্রাফিক আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য বা গুগল এডসেন্স এর জন্য অনেক বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু সাধারণ তো গুগল এডসেন্স এপ্লাই করার জন্য কোন নির্দিষ্ট মিনিমাম ট্রাফিক প্রয়োজন নেই। তবে আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণের কনটেন্ট এবং প্রদর্শনকারী থাকা আবশ্যক ।
  3. এরপরে আমরা জেনে নেই কিলিক,আরো,এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা,সম্পর্কে। গুগল এডসেন্স একাউন্ট ব্যবহার করার পরে বা অ্যাপ্লাই করার পরে আপনার ওয়েবসাইটে যখন এড দেখানো শুরু করবে তখন আপনার বেশি ক্লিক প্রয়োজন হবে। আর অ্যাড এবং ক্লিক এর মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন।
  4. গুগল এডসেন্স এপ্লাই করার জন্য সাধারণত ট্রাফিকের প্রয়োজন নেই, তবে আপনার ওয়েবসাইটের গুনাগুন এবং কন্টেনে হাই কোয়ালিটির বা উচ্চ মানের হতে হবে। এবং আপনি আপনার একাউন্টে Develop করাতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা গুলো মেনে চলতে হবে। যা যা শর্ত আছে সব মেনে চলতে হবে। এভাবে যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আর্নিং করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স দিয়ে কত টাকা আয় করা যায়

এরপরে আমরা জেনে নেই কিলিক,আরো,এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা,সম্পর্কে। গুগল এডসেন্স একাউন্ট ব্যবহার করার পরে বা অ্যাপ্লাই করার পরে আপনার ওয়েবসাইটে যখন এড দেখানো শুরু করবে তখন আপনার বেশি ক্লিক প্রয়োজন হবে। আর অ্যাড এবং ক্লিক এর মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স এপ্লাই করার জন্য সাধারণত ট্রাফিকের প্রয়োজন নেই, তবে আপনার ওয়েবসাইটের গুনাগুন এবং কন্টেনে হাই কোয়ালিটির বা উচ্চ মানের হতে হবে। এবং আপনি আপনার একাউন্টে Develop করাতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা গুলো মেনে চলতে হবে। যা যা শর্ত আছে সব মেনে চলতে হবে। এভাবে যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আর্নিং করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স দিয়ে আয় করা যায়,এটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন থেকে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। তার মধ্যে কিছু প্রধান ফ্যাক্টর নিচে আলোচনা করা হলো:-

  1. ট্রাফিকের পরিমাণ আপনার ওয়েবসাইটে দর্শনাথিদের সংখ্যা বেশি থাকলে আপনি অনেকগুলা ক্লিক পাবেন এবং ক্লিক বারাস সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন শো করবে আর এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি আর্নিং করতে পারবেন।
  2. ক্লিক এবং সিপিএ প্রতিটি ক্লিকের মূল্য আপনার ওয়েবসাইটে দর্শনার্থীরা কতটা আপনার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলো এবং এই ক্লিকের মাধ্যমে আপনার মূল আই প্রধান পরিমাণ পরিধাবন করে। আপনার বিজ্ঞাপনে যতগুলা ক্লিক করবে আপনি তত বেশি টাকা আর্নিং করতে পারবেন।
  3. বিজ্ঞাপনের প্রকার এবং বিজ্ঞাপনের বিষয় কিছু কিছু বিজ্ঞাপনের মূল্য অনেক বেশি হতে পারে আবার কিছু কিছু বিজ্ঞাপনের মূল্য অনেক কম হতে পারে এবং আপনার বিজ্ঞাপনের বিষয় গুলো আপনি নিজে ঠিক করতে পারবেন। যেমন আপনার ওয়েবসাইটে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো হবে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো হবে না এটা আপনি নিজে ঠিক করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
কমেন্ট করুন

এ. আর. মুক্তির আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;

comment url